স্বয়ং ভগবান বিষ্ণুর বাণী থেকে তৈরি তীর্থ যাত্রার মহিমা পরিত্রায়নী গঙ্গার চেয়েও পবিত্র ফালগু তীর্থ!
পিন্ডদানের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব!
আছে ফালগু ঋষির তপস্যাস্থল!
নয়া দিল্লী:
সনাতন ধর্মের সুপ্রাচীন প্রমাণ হিসেবে ফলগু তীর্থকে পরিত্রানের দ্বার বলে উল্লেখ করা হয়। গয়া তীর্থের মত এই তীর্থস্থানেও পিন্ড দান, তর্পণ এবং শ্রাদ্ধ করার মাধ্যমে আত্মার শান্তি লাভ হয়। হরিয়ানায় অবস্থিত এই তীর্থস্থানটি ভগবান বিষ্ণুর একনিষ্ঠ ভক্ত ঋষি ফলগুর তপস্যাস্থল। ঋষি ফলগুর এই তপস্যাস্থল ফলগু তীর্থ নামেই বেশি পরিচিত। এই তীর্থ স্থানে রয়েছে বিশাল আকার এক সরোবর সেই সঙ্গে রয়েছে সরোবরের পাশে ফলগু ঋষির মন্দির। কথিত আছে ঋষি ফলগু এই স্থানেই তপস্যা করেছিলেন। আর স্বয়ং ভগবান বিষ্ণুর বাণীতে এই তীর্থের মহিমা সৃষ্টি হয়। মহাভারত, বামন পুরাণ, মৎস্য পুরাণ এবং নারদ পুরাণে এই তীর্থ যাত্রার মাহাত্ম্য স্পষ্ট ভাবে বর্ণিত আছে। মহাভারত ও বামুন পুরাণে এই তীর্থস্থানকে দেবতাদের বিশেষ আবাসস্থল হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে অগ্নি পুরাণেও ফলগু তীর্থযাত্রার গুরুত্ব উল্লেখ আছে। বলা হয়ে থাকে শুদ্ধচিত্তে ফলগু তীর্থকে স্মরণ করলে পূর্বপুরুষরা সন্তুষ্ট হন।
মহাভারত অনুসারে:-
ততো গচ্ছেত রাজেন্দ্র ফলকিবনমুত্তমম্।
তত্রদেবা সদা রাজন্ ফলকিবনমশ্রিতা।
গর্গাচার্য মহারাজ যুধিষ্ঠিরকে এমনটাই বলেছিলেন যে, ফলকী বনে দৃষদ্বতী নদীর তীরে অতি সুন্দর ফলগু তীর্থ রয়েছে যেখানে দেবতারা সর্বদাই অবস্থান করে তপস্যা করেন।
কে ছিলেন ফলগু ঋষি?
ফলগু তীর্থের পুরোহিত পন্ডিত ভীম সেন শর্মা “জানে আপনে মন্দির” -এর টিমকে জানিয়েছেন যে, ঋষি ফলগু ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর একনিষ্ঠ ভক্ত। তিনি এই ফলকি বনে তপস্যা করতেন। উনার তপস্যার সময় গয়া তীর্থস্থানে গয়াসুরের শাসন ছিল। সেই গয়াসুর ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর আরেক পরম ভক্ত। আর ভগবানের আশীর্বাদে গয়াসুর শক্তির অধিকারী হয়েছিলেন। আর এই শক্তির অহংকারে তিনি এতটাই দাম্ভিক হয়ে ওঠেন যে তিনি সাধু-সন্তদেরও বিরক্ত করতে শুরু করেন। নিজের অহংকারে তিনি একদিন প্রতিজ্ঞা করেন যে রাজা মহারাজা কিংবা সাধু তাকে মল্ল যুদ্ধে এবং শাস্ত্রার্থ, এই উভয় ক্ষেত্রেই পরাজিত করতে পারবেন, তার সঙ্গে তিনি তার তিন কন্যা সোমাবতী, ভোমাবতী এবং গোমাবতীর বিবাহ করাবেন। কথিত আছে, কোন রাজা বা সাধু গয়াসুরের এই শর্তকে মেনে নেননি একমাত্র ফলগু ঋষি গয়াসুরের এই প্রতিজ্ঞার কথা জানতে পেরে তার শর্ত মেনে নিয়ে গয়ার উদ্দেশ্যে রওনাও হন। শেষ পর্যন্ত গয়াসুর পরাজিত হয়ে মৃত্যু মুখে পতিত হন। এরপরেই গয়াসুর তার সমস্ত আধ্যাত্মিক শক্তি ফলগু ঋষিকে দান করেন, আর তার অন্যায় কাজের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করে পরিত্রাণের জন্য ঋষি ফলগুকে ভগবান বিষ্ণুর কাছে প্রার্থনা করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। এরপরেই ফলগু ঋষি সেই নদীর তীরে ভগবান বিষ্ণুর পূজা শুরু করেন। ফলগুর পূজা যজ্ঞের প্রভাবে ভগবান বিষ্ণু সেখানে আবির্ভূত হলে ফলগু ঋষি গয়াসুরকে মুক্তি দেয়ার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন। ফলগু ঋষির প্রার্থনায় মুগ্ধ হয়ে ভগবান বিষ্ণু বললেন তথাস্তু। সেই সময় থেকেই অনাগত অর্থাৎ শ্রাদ্ধ পক্ষে সেখানে তর্পনের প্রথা শুরু হয়।
ফলগু তীর্থের রহস্য!
ভগবান বিষ্ণু গয়াসুরতে পরিত্রাণ দেয়ার পরে ফলগু ঋষি ভগবানকে অনুরোধ করেন যে আপনি গয়াকে যেভাবে পরিত্রাণের গুরুত্ব দিয়েছেন। ঠিক একই ভাবে আমার তপস্যার জন্য এই স্থানকে পরিত্রাণ প্রদান করুন, যেন এখানকার মানুষও এই সুবিধা নিতে পারে। তখনই ভগবান ঋষি ফলগুকে তথাস্তু বলেন। সেই থেকেই ফলগু তীর্থযাত্রাকে পরিত্রাণের দ্বার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শাস্ত্রেও এই প্রভাব বহু জায়গায় বর্ণিত রয়েছে। শাস্ত্র অনুসারে শ্রী ফলগু ঋষি ফলকিবনে তপস্যা করতেন। পরবর্তীতে ফলকিবন থেকে গ্রামের নাম পরিবর্তন হয়ে ফরাল হয়। সেখানে সোমাবতী অমাবস্যার দিনে শ্রাদ্ধ, তর্পণ ও পিন্ডদান করলে পূর্বপুরুষরা জীবনচক্র থেকে মুক্তি পান এবং পরিত্রান লাভ করেন। স্বয়ং ভগবান বিষ্ণুর বাণী থেকেই এই তীর্থ যাত্রা মহিমা তৈরি হয়েছে। ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে সোমবারের অমাবস্যা তিথিতে এই তীর্থস্থানে স্নান ও তর্পণ করলে অগ্নিষ্ঠম তথা অতিরাত্র যজ্ঞের চেয়েও অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়।
গোসহস্রস্য রাজেন্দ্র ফলন বিন্দনি মানব।
পানিখাতে নরঃ স্নান্বা তর্পচিত্বা দেবতা।।
অর্থাৎ পানিখতে স্নান করার পরে দেবতা, ঋষি ও পিতৃপুরুষদের পূজা করে মানুষ সহস্র গো দানের ফল এবং অগ্রস্তোম যজ্ঞের ফল লাভ করতে পারে। ফলকিবনে অবস্থিত এই পানিঘাট তীর্থ বর্তমানে পবনেশ্বর তীর্থ নামে পরিচিত। আচার্য রবি গীরির মতে, ফলগু তীর্থ মহাভারত যুগেরও আগে। এই তীর্থস্থান বহু প্রাচীন।
পিন্ড দানের বিশেষ গুরুত্ব!
শ্রী ফলগেশ্বর মন্দিরের পন্ডিত ভীম সেন শর্মা জানিয়েছেন যে, সর্বদাই পাপ ধ্বংস করা ফলগু তীর্থের উল্লেখ মহাভারতের বনপর্বেও উল্লেখ পাওয়া যায়।
পিন্ডদান সম্পর্কে বলা হয় –
তপশ্চরন্তি বিপুলম্ বহু বর্ষাশ্রকম্।
দৃষদ্বতি নরঃ স্নাত্ত্বা বহুবর্ষহস্রকম্।
অর্থাৎ ফলগু তীর্থে স্নান করে দেবতা, ঋষি এবং পূর্বপুরুষদের নামে তর্পণ করলে মানুষ অগ্রস্তোম ও অতিরাত্রের মত যজ্ঞের ফল লাভ করে। সেখানে ত্রিপিণ্ড দানের অনেক মাহাত্ম্য আছে। ত্রিপিণ্ড মানে ব্রহ্মা-বিষ্ণু এবং মহেশ্বরকে পিন্ড নিবেদন করা। তাদের ধ্যান করে পিন্ড দান করলে পিতৃপুরুষদের আত্মা নানা ভ্রান্তি থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পায়। কথিত আছে যে সোমাবতী ঋষি ফলগুর কাছে বেশি প্রিয় ছিলেন, তাই এই অমাবস্যা সোমাবতী অমাবস্যা নামেও পরিচিত। এই যোগ সাধনের জন্য লক্ষ লক্ষ ভক্ত এখানে তাদের পূর্বপুরুষদের জন্য শ্রাদ্ধ করেন।
পরিত্রায়নী গঙ্গার চেয়েও পবিত্র ফলগু তীর্থ!
বায়ু পুরাণে বলা হয় যে, পতিত পাবনি গঙ্গা অপেক্ষা ফলগু তীর্থ শ্রেষ্ঠ।
গঙ্গা পদোদকম বিষ্ণো ফল্গুহর্যাদি গদাধরঃ।
স্বয়ং হি দ্রাবরূপেন তস্মাদ্ গঙ্গাধিকান্ বিদাঃ।।
অর্থাৎ গঙ্গা হচ্ছে ভগবান বিষ্ণুর চরণামৃত। আর ফলগু রূপেই স্বয়ং আদি গদাধর। ভগবান স্বয়ং (তরল) জল রূপে আছেন। তাই ফলগুকে গঙ্গার চেয়েও বেশি জানা উচিত। ফলগু তীর্থের মাহাত্ম্য এবং শ্রেষ্ঠত্ব পৌরাণিক তথ্য দাঁড়াও নিশ্চিত করা হয়েছে। যেখানে বলা হয় যে, সমগ্র পৃথিবীর সমস্ত তীর্থ গোষ্ঠী এই ফলগু তীর্থে দেবতাদের সাথে স্নান করতে আসে। তীর্থযাত্রার মাহাত্ম্য সম্পর্কে লেখা হয়েছে যে, ফলগু তীর্থে স্নান করে যতটা কোনো ব্যাক্তি যা ফল পায়, কোনো ব্যাক্তি এক লক্ষ অশ্বমেধ যজ্ঞ করে সেই ফল পায় না।
বামন পুরাণ অনুসারে, যে ব্যক্তি অমাবস্যায় (সোমাক্ষয়) শ্রাদ্ধ করেন তিনি প্রচুর পুণ্য লাভ করেন। গয়াতে শ্রাদ্ধ যেমন পিতৃপুরুষকে খুশি করে, তেমনি ফলকিবনের শ্রাদ্ধ সুখ দেয়। ফালগু তীর্থে স্নান করার পরে একজন ব্যক্তির তর্পণ এবং পিন্ড শ্রাদ্ধ তার গৃহসুক্ত অনুসারেই করা উচিত।
ভগবান বিষ্ণুর বাণী থেকে তৈরি এই তীর্থযাত্রার মহিমা!
বিশ্বাস করা হয় যে, ফালগু তীর্থে স্নান করে ফলেশ্বর মন্দিরে পুজো দিলে একজন মানুষ তার নিজের পরিত্রাণের সঙ্গে সঙ্গে তার পূর্বপুরুষদের দশ প্রজন্মকে রক্ষা করে। এই পবিত্র তীর্থ স্থানে ফলগু ঋষির মন্দিরের সৌন্দর্যায়নের কাজ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ফলগু পার্ককেও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। এখানে বহু মন্দিরের পাশাপাশি সরোবরের ঘাটের কাছে একটি অষ্টভুজাকার ভিত্তির উপর নির্মিত ১৭ শতকের মুঘল শৈলীর শিব মন্দির আছে, যার আনুমানিক উচ্চতা প্রায় ৩০ ফুট। ঘাটের কাছেই রয়েছে একটি প্রাচীন বট বৃক্ষ, এই বট বৃক্ষটিকে মানুষ বরাবরই শ্রদ্ধার চোখে দেখে। এখানে রয়েছে রাধা কৃষ্ণের একটি মন্দিরও যা নগর শৈলীতে নির্মিত। এখানে পিতৃপক্ষের সোমাবতী অমাবশ্যায় বিশাল মেলার আয়োজন করা হয়।
মুক্তিভবতি পিতৃনা: কতুনাম তারনায় চ।
ব্রাহ্মণা প্রাথ্রিত বিষ্ণু: ফলগুরুপো ভবতপুরা।।
ফলগু তীর্থে শ্রাদ্ধ করলে পূর্বপুরুষদের মুক্তি হয় এবং যে ব্যক্তি শ্রাদ্ধ করেন সেই ব্যক্তিরও পূণ্য হয়। কারণ ভগবান বিষ্ণুর বর দ্বারা ফলগু তীর্থ পরিত্রানের তীর্থ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আশ্বিনী মাসে যখনই সোমাবতী অমাবস্যা আসে, সে যত বছর পরই আসুক না কেন মেলার আয়োজন সেখানে করা হয়।
ফড়াল গ্রামের বাসিন্দা সাহাব সিং রানা এই পবিত্র মন্দির সম্পর্কে ” জানে আপনে মন্দির” -এর দলকে জানিয়েছেন যে, এখানকার সরোবরের জল কখনোই শুকিয়ে যায়না। ফলগু তীর্থ যাত্রার মহিমা গয়া স্নান ও শ্রাদ্ধের গৌরবের সমান। ফরাল গ্রামের চারপাশে ৪৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বসবাসকারী মানুষের হরিদ্বারে ছাই বিসর্জন এর দরকার পড়ে না। ফড়ালে পিণ্ডদান করেই তারা পরিত্রাণ লাভের অধিকারী। কেথলের লাজপত রায়ের মতে তার পরিবারের প্রবীণরা শত শত বছর ধরে এই তীর্থযাত্রার সেবা করে আসছেন।
ফলগু তীর্থের বিশেষ বিশ্বাস-
এই ফলগু তীর্থে হরিয়ানার মানুষের অনেক বিশ্বাস রয়েছে। কেথলের ফড়াল গ্রামের বাসিন্দা সাহাব সিং রানার মতে এই তীর্থযাত্রার প্রতি মানুষের বিশেষ বিশ্বাস রয়েছে এবং ফলগু ঋষির মানুষের উপর বিশেষ আশীর্বাদও রয়েছে। তার মতে তার ভাগ্নে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, চিকিৎসার সময় দেখা গেছে মস্তিষ্কে পিণ্ড রয়েছে। চিকিৎসকরা তা নিরাময় করতে পারেননি। তারপর আমরা তাকে এখানে ফলগু ঋষির আশ্রমে নিয়ে আসি। বাবার কৃপায় সে ভালো হয়ে গেল। ফলগু তীর্থযাত্রায় বিশ্বাসী, শশীবালা। ফরাল গ্রামের শ্রী কিরণ পালের স্ত্রী তিনি। “জানে আপনে মন্দির” টিমের সাথে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি জানান যে, তার বোন নিঃসন্তান ছিলেন। একবার তার বোন সেখানকার মেলায় গিয়ে ফলগু মন্দিরে যান এবং মানত করেন যে বোনের সন্তান হলে সে আবার মেলায় আসবে। পরের বছর পিতৃপক্ষের আগেই তার বোনের কোল আলো করে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এরপর তিনি ফলগু তীর্থে এসে ভোগ প্রদান করেন। উজ্জ্বল রানা জানিয়েছেন যে, এখানকার বটগাছ অনেক প্রাচীন। এই তীর্থে আসা সকলের ইচ্ছাই পূরণ হয়। ইচ্ছা পূরণের পর দেশ বিদেশের মানুষ এখানে এসে ভোগ প্রদান করেন। গ্রামের যুবকদের দ্বারা গঠিত শ্রী ফলগু তীর্থ বিকাশ সমিতির দ্বারা মন্দিরের পরিছন্নতা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।
কিভাবে যাবেন ফলগু তীর্থ, ফলগেশ্বর মন্দিরে:-
দিল্লি থেকে ২৩০ কিমি দূরত্বে অবস্থিত ফলগু তীর্থ এবং ফলগেশ্বর মন্দির হরিয়ানার কেথল জেলার ফতেপুর পুন্দ্রি তহশীলের গ্রাম ফড়ালে অবস্থিত যা কেথল থেকে ২৫ কিমি এবং কুরুক্ষেত্র থেকে ২৫ কিমি তথা পিহোয়া থেকে ২০ কিমি দূরে ধান্দ – পুণ্ডরী সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। আকাশপথে আসতে হলে কেথালের সবচেয়ে নিকটতম বিমানবন্দর হল চন্ডিগড় যা প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে এবং দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ১৯০.৬ কিমি দূরত্বে অবস্থিত।
রেল পথে আসতে হলে সবচেয়ে কাছের কেথল রেলওয়ে স্টেশন ফড়ল থেকে মাত্র ২২.৩ কিমি দূরে। সেখান থেকে রেলপথে কুরুক্ষেত্র চাওয়া যায়।